নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা শেষে শনিবার বিকেলে বাড়ী ফেরার পথে বিজয়ী দল নাঙ্গলকোট আরিফুর রহমান মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী দু’ দফায় লাঠিশোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে বিজিত দল বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ শিক্ষক ও ৯ শিক্ষার্থীকে আহত করে।
পরে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ সদস্যদের ধাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আলী আশ্রাফ মিলন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
জানা যায়, নাঙ্গলকোট শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় বিজয় হন নাঙ্গলকোট এ.আর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। খেলা শেষে পরাজিত দল বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সিএনজি আটোরিক্সা যোগে নিজ এলাকায় ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ এলাকায় পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা নাঙ্গলকোট আরিফুর রহমান মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্রস্বস্ত্রদিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে গিয়ে পুনঃরায় পৌরসভার কোদালিয়া গ্রামে মেয়র আব্দুল মালেকের বাড়ীর সামনে দ্বিতীয় দফা হামলা করে। হামলায় বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহসিন ভ‚ঁইয়া, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সালমান, জনি, বিজয়, শিপাত, নবম শ্রেণীর সাব্বির, শুভ, ফখরুল, নিরব, সাইমুন, আরমান আহত হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের বহন করা সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করে।
বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আলী আশ্রাফ মিলন বলেন, খেলা শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ছাত্র নামের সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার স্কুলের ১ শিক্ষক ও ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলায় জড়িতদের চিহিৃত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।
নাঙ্গলকোট আরিফুর রহমান মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহীদ উল্লাহ বলেন, আমি বিষয়টি রাতে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সাধন চন্দ্র নাথের মাধ্যমে অবগত হই। ঘটনা কারা ঘটিয়েছে আমি জানি না। আমার স্কুলের কোন ছাত্র জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আরিফুর রহমান মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উনার সাথে কথা বলে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। যারা হামলার ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাদেরকে আর কোন খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হবে না।